
পৃথিবীর বুকে সবচেয়ে চির ও অনড় সত্য হলো মৃত্যু। প্রত্যেক প্রাণীকে মরতে হবে। ইন্তেকালের কবল থেকে জগতের কোন তাবৎ পরাশক্তি কোন প্রযুক্তি কাউকে বাঁচাতে পারবে না। তবে কিছু মৃত্যু মেনে নেওয়া যায়না।
সাভারের আশুলিয়ায় সাইড দেওয়া নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার জেরে রোগীসহ অ্যাম্বুলেন্স আটকে রেখে চালক ও তাঁর সহকারীকে মারধর করেছে অপর মাইক্রোবাসের চালকসহ কয়েকজন ব্যক্তি। এ সময় অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরে থাকা ক্যানসার আক্রান্ত শিশু আফসানা (০৯) ছটফট করতে করতে মারা গেছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে সাভারের আশুলিয়ার বাইপাইল মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের নরসিংহপুর বাসস্ট্যান্ডে সাইড দেওয়া নিয়ে বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন অ্যাম্বুলেন্স ও মাইক্রোবাসের চালক।
অভিযুক্ত মাইক্রোবাস চালক নজরুল ইসলাম বাইপাইল এলাকার আব্দুল মজিদের গাড়ির চালান বলে জানা গেছে। বিতণ্ডা ও মারধরে জড়িত অন্যদের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।
আফসানা গাইবান্ধা জেলা সদর থানার মধ্য ধানগড়ার শাপলা মিল এলাকার আলম মিয়ার মেয়ে। সে ক্যানসারের রোগী ছিল। তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে মহাখালীর ক্যানসার হাসপাতালে রেফার করা হয়েছিল।
অ্যাম্বুলেন্সের চালক মারুফ হোসেন বলেন, ‘আমরা রোগী নিয়ে গাইবান্ধায় যাচ্ছিলাম। টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের নরসিংহপুর এলাকায় পৌঁছালে বারবার হর্ন দেওয়ার পরও একটি মাইক্রোবাস সাইড দিচ্ছিল না। এ সময় আমার হেলপার ইমন তাদের বলে আমাদের অ্যাম্বুলেন্সে ইমারজেন্সি রোগী আছে ,আমাদের ছেড়ে দেন।
এ সময় বাগ্বিতণ্ডা হয়। পরে লোকজন ডেকে বাইপাইল এলাকায় গাড়ি আটক করে আমাদের মারধর করে। পরে অ্যাম্বুলেন্সের চাবি নিয়ে যায় তারা। চাবি নেওয়ার ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে রোগী মারা যায়। পরে পুলিশ এসে রোগীকে স্থানীয় নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়।’
আফসানার বাবা আলম মিয়া বলেন, ‘আমার মেয়ে ক্যানসারের রোগী। রংপুর মেডিকেল কলেজ থেকে মহাখালী ক্যানসার হাসপাতালে রেফার করা হয়েছিল। সেখান থেকে আমরা আবার গাইবান্ধা যাচ্ছিলাম।’
Leave a Reply