
মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন ভারতের কিংবদন্তি গায়ক ও সুরকার বাপ্পি লাহিড়ী। তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। কোটি কোটি ভক্ত, অনুরাগীর সঙ্গে রেখে গেছেন বিপুল পরিমাণ সম্পদ। আর তিনি ছিলেন গোল্ড লাভার। তাই তার সংগ্রহে ছিল উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সোনা। আজীবন ভারী সোনার গয়না পরতে দেখা গিয়েছে তাকে। এ নিয়ে নানা প্রশ্নের সম্মুখীনও হতে হয়েছে ভারতের ডিস্কো কিংকে। তার আলমারিতে কতটা সোনা রয়েছে? ২০১৪ সালে সে কথা নিজেই জানিয়েছিলেন ভারতের ডিস্কো কিং। সে বছর শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচনী যুদ্ধে নেমেছিলেন তিনি।
নির্বাচন কমিশনকে সম্পত্তির খতিয়ান দিয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, ৭৫৪ গ্রাম সোনা রয়েছে তাঁর আলমারিতে। এছাড়াও ৪.৬২ কেজি রুপোর গয়না রয়েছে তাঁর কাছে। এমনটাই জানিয়েছিলেন বাপ্পি লাহিড়ী। ২০১৪ সালে বাপ্পি লাহিড়ী জানিয়েছিলেন, তাঁর সোনার গয়নার বাজারমূল্য ৪০ লাখ টাকা। তার রুপোর গয়নার বাজারমূল্য ছিল দু’ লাখ ২০ হাজার টাকা। মোট ২০ কোটি টাকার সম্পত্তি ছিল তাঁর। তবে আট বছরে যে তাঁর গয়নার পরিমাণ অনেকটা বেড়ে গিয়েছিল, তা বলাইবাহুল্য। জানা গিয়েছে, শেষবার ধনতেরসে একটি সোনার টি সেট কিনেছিলেন তিনি।
এক সাক্ষাৎকারে বাপ্পি লাহিড়ী জানিয়েছিলেন, তিনি মার্কিন রকস্টার এলভিস প্রেসলির ভক্ত ছিলেন। এলভিস নিজের শো চলাকালীন সোনার চেইন পরতেন। আর সেই থেকেই অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন তিনি। সংগীত জগতে সফল হলে তিনি এলভিসের মতোই সোনার চেইন পরবেন, এমনটাই ভেবেছিলেন তিনি। যেমন ভাবনা তেমনই কাজ। পরবর্তীতে যখন সাফল্য এল তখন সোনার চেইন পরতে শুরু করেছিলেন তিনি। পরবর্তীতে সোনা কেনা তাঁর শখে পরিণত হয় এবং ধীরে ধীরে তাঁর ফ্যাশন স্টেটমেন্ট হয়ে ওঠে এই গানটি।
বাপ্পি লাহিড়ী শুধুমাত্র ফিল্ম থেকেই আয় করতেন তা নয়। একাধিক রিয়েলিটি শো-র বিচারক ছিলেন তিনি। একাধিক শো করতেন। ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, প্রতিটি গানের জন্য আট থেকে ১০ লাখ টাকা নিতেন তিনি। এক ঘণ্টার পারফর্ম্যান্সের জন্য ২০-২৫ লাখ টাকা নিতেন তিনি। ভারতের সর্বাধিক আয়দাতাও ছিলেন তিনি। তবে শুধু সোনা নয়, গাড়ি কেনার শখও ছিল তাঁর। জানা গিয়েছে, পাঁচটি গাড়ি কিনেছিলেন তিনি। নির্বাচনী এফিডেভিট অনুযায়ী, একটি বিএমডব্লিউ গাড়ি ছিল তাঁর। যার মূল্য ছিল ৪২ লাখ টাকা। একটি অডি গাড়ি ছিল, যার মূল্য ছিল ৩২ লাখ টাকা। এ
ছাড়াও ২০ লাখ টাকার ফিয়াট, ১৬ লাখের সোনাটা এবং আট লাখ টাকার স্করপিও ছিল তাঁর। শোনা যায়, একটি টেসলা এক্স গাড়িও ছিল তাঁর। যার দাম ৫৫ লাখ টাকা। কিংবদন্তী শিল্পীর বাসভবনটি বিলাসবহুল ছিল। ২০০১ সালে ওই বাড়িটি কিনেছিলেন তিনি। যার বাজারমূল্য সাড়ে তিন কোটি টাকা। শোনা যায়, একাধিক দেশে তার বাড়ি রয়েছে। যদিও এ বিষয়ে কোনও তথ্য প্রকাশ্যে আসেনি কখনও। সূত্র: এই সময়।
Leave a Reply