
প্রয়াত পিতার পরিচয় সম্পর্কে দ্বিধা দূর করতে কবর থেকে পিতার মৃতদেহ তুলে তার ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর চিঠি পাঠিয়েছেন বিলেত প্রবাসী ব্যারিস্টার সামিরা চৌধুরী। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব প্রয়াত হারিছ চৌধুরীর মেয়ে। হারিছ ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালেই মারা যান গত ৩ সেপ্টেম্বর।
চিঠিতে সামিরা উল্লেখ করেন ,২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের এভার কেয়ার হাসপাতালে করোনায় মারা যান তার বাবা।কিন্তু পরিচয় গোপন করার জন্য তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন মাহমুদুর রহমান নামে। এভার কেয়ার হাসপাতাল থেকে হারিছ চৌধুরীর নামে যে ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছিল তাতে তার প্রকৃত নামের পরিবর্তে লেখা ছিল মাহমুদুর রহমান। মৃত্যুর পর হারিছ চৌধুরীকে জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যানের কাছে একটি মাদ্রাসায় শায়িত করা হয়। ঠিকানা- জালালবাদ, কমলাপুর, বিরুলিয়া, সাভার, ঢাকা। কিন্তু এটি সামিরা ও তার পরিবারের স্বীকৃত কবরস্থান নয়।
তিনি আরো বলেন, আমার প্রয়াত বাবা হারিছ চৌধুরীর আসল পরিচয়ের বিষয়টি পরিবারের পাশাপাশি বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। অতএব বাংলাদেশের আইন বিভাগ যদি ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে প্রয়াত বাবার পরিচয় নিশ্চিত করতে চায় তাহলে আমার কোনো আপত্তি নেই।
প্রয়োজনে কবর থেকে বাবার মরদেহ তুলেও তারা ডিএনএ’র নমুনা সংগ্রহ করতে পারেন। সেসঙ্গে প্রয়াত বাবার দেহাবশেষ তাদের দর্পননগরের গ্রামে নির্দিষ্ট কবরস্থানে দাফনের ব্যবস্থা করার আবেদনও জানান সামিরা। একই আবেদন জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্বরাষ্ট্র সচিব ও সিআইডি প্রধানের কাছে।
প্রসঙ্গত, বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ২০১৮ সালে হারিছ চৌধুরীর যাবজ্জীবন সাজা হয়। এ ছাড়া জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় একই বছরের ২৯ অক্টোবর তাকে ৭ বছরের জেল এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল।
Leave a Reply