
দিনাজপুরের পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে কর্মরত চীনা ও বাংলাদেশি ৫২ জন শ্রমিকের ক’রো’না শনাক্ত হওয়ায় কয়লা উত্তোলন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরীক্ষামূলক ভাবে উৎপাদন শুরু করার তিন দিন পর
কয়লা উত্তোলন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। নির্ধারিত সময়ের ২০ দিন আগেই ২৭ জুলাই থেকে খনির নতুন কূপে পরীক্ষামূলক কয়লা উৎপাদন শুরু হয়েছিল। শনিবার বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের
ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, প্রায় তিন মাস বন্ধ থাকার পর বুধবার খনির নতুন ফেজ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়। তবে কয়লা সংকটের কারণে
বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হওয়া এবং উত্তরাঞ্চলে অতিরিক্ত লোড শেডিং হওয়ার যে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল, তা অনেকটাই কাটিয়ে উঠবে বলে আশা করছে খনি কর্তৃপক্ষ। তিনি আরো জানান,
১ মে খনির ১৩১০ নম্বর ফেজ (কূপ) থেকে কয়লা উত্তোলন শেষ হলে ওই কূপটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। পরে নতুন ফেজে যন্ত্রপাতি স্থানান্তর ও সংস্কার কাজ শেষ করে আগস্টের মাঝামাঝি খনির নতুন ১৩০৬ নম্বর
ফেজ থেকে কয়লা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা নির্ধারিত সময়ের ২০ দিন আগেই ২৭ জুলাই পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে কয়লা উত্তোলন কাজের উদ্বোধন করেন।
Leave a Reply