
যে কোনো সময় গু’ম হওয়ার আশ’ঙ্কা প্রকাশ করেছেন দু’র্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে চাকরিচ্যুত হওয়া উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন। বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) এক ভিডিওবার্তায় এ কথা জানান তিনি।
এই কর্মক’র্তা সর্বশেষ পটুয়াখালী দুদকের সমন্বিত জে’লা কার্যালয়ে কর্ম’রত ছিলেন। গত বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুদক কর্মচারী চাকরি বিধিমালা ২০০৮ এর ৫৪(২) বিধি অনুযায়ী মোহাম্ম’দ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ উপ-সহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিনকে চাকরি থেকে অ’পসারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেন।
বৃহস্পতিবার চাকরিচ্যুত শরীফ উদ্দিন তিনি বলেন, আমা’র দীর্ঘ সাত বছরের চাকরি জীবনের বেশি সময় চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার এলাকায় কে’টেছে। সে সময় আমি অনেক বড় বড় ব্যক্তিদের বি’রুদ্ধে কাজ করেছি। বিশেষ করে চট্টগ্রামে জমি অধিগ্রহণে অনিয়ম এবং দু’র্নীতির বি’রুদ্ধে ১৫৫ জনকে অ’ভিযু’ক্ত করে অ’ভিযোগপত্র দিয়েছি। রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশি পাসপোর্ট দেওয়ার বিষয়ে ২০ জনকে অ’ভিযু’ক্ত করে অ’ভিযোগপত্র দিয়েছি। চট্টগ্রামের স্বাস্থ্যখাতের অনিয়ম নিয়ে কাজ করেছি।
তিনি আরও বলেন, পেট্রোবাংলার একটি প্রকল্পের অনিয়ম নিয়ে কাজ করতে গিয়ে পেট্রোবাংলার ডিরেক্টর (প্ল্যানিং) আইয়ুব খানের বি’রুদ্ধে রিপোর্ট দিয়েছি। এ কারণে গত ৩০ জানুয়ারি আইয়ুব খান আমা’র বাসায় এসে আমাকে এক সপ্তাহের মধ্যে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার হু’মকি দেন। এ ঘটনায় আমি অধিদপ্তরকে অবহিত করেছিলাম।
তবে এক সপ্তাহ নয় তার একটু বেশি সময় লেগেছে। ১৬ দিনের মা’থায় আমাকে চাকরি থেকে অ’পসারণ করা হয়েছে। এর আগে আমাকে কোনো ধরনের কারণ দর্শানোর নোটিশ করা হয়নি। এখন আমি অ’জ্ঞাত স্থানে আছি, যে কোনো সময় গু’ম হয়ে যেতে পারি।
এদিকে দুদক কর্মচারী আইন ৫৪ (২) ধারাকে কালো আইন দাবি করে এটি বাতিলসহ শরীফ উদ্দিনকে অসাংবিধানিকভাবে চাকরি থেকে অ’পসারণ করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন দুদকের কর্মক’র্তা ও কর্মচারীরা। এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দুপুরে পটুয়াখালী দুদক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন তারা।
মানববন্ধনে পটুয়াখালী দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আরিফ হোসেন, সহকারী পরিদর্শক কঞ্চু পদ বিশ্বা’স, উপ সহকারী পরিদর্শক সিকদার মুহম্ম’দ নুরুন্নবী, উচ্চ’মান সহকারী মো. নুর হোসেন গাজীসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply