
ঘরের মাঠে আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার লক্ষ্যে আজ শেষ ওয়ানডেতে মাঠে নামে বাংলাদেশ দল। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সতর্কভাবে খেলতে থাকে তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। তবে পাওয়ার প্লে শেষে বাংলাদেশের উইকেট নিতে সক্ষম হয় আফগানিস্তান।
১১তম ওভারে ফজল হক ফারুকির প্রথম বলেই বোল্ড হন তামিম। ২৫ বলে ১ চারে ১১ রান করে সাঝঘরে ফিরেন তিনি। অন্যদিকে দারুণভাবে লড়তে থাকেন লিটন। তবে লিটনকে সঙ্গ দিতে পারেননি সাকিব আল হাসান। আজমাতউল্লাহ ওমরজাইয়ের বল সাকিবের ব্যাটে স্টাম্প ভেঙে দেয়। এর ফলে ৩৬ বলে ৩ চারে ৩০ রান করে ফিরেন তিনি।
ক্রিজের এক প্রান্ত লিটন আগলে রাখলেও তাকে সঙ্গে দিয়ে ব্যর্থ হন বাকিরা। রশিদের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন মুশফিকুর রহিম। তিনি খেলেন ১৫ বলে ৭ রানের ইনিংস। অন্যদিকে অভিষেক ম্যাচে শূন্য রানে ফেরার পর এই ম্যাচেও ব্যর্থ হয়েছেন ইয়াসির আলি। ৪ বলে ১ রান করে স্লিপে গুলবাদিন নাঈবের হাতে ধরা পড়ে ফিরেন তিনি।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সেঞ্চুরির পর শেষ ম্যাচেও সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন লিটন। কিন্তু তাকে সেঞ্চুরি বঞ্চিত করেন মোহাম্মদ নবী। তার বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে বল তুলে দেন আকাশে। এরপর নাঈবের দারুণ ক্যাচে ফিরেন তিনি। ১১৩ বলে ৭ চারে ৮৬ রানের ইনিংস খেলেন লিটন।
লিটনের বিদায়ের পরপরই প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটেন আফিফ হোসেন। ৬ বলে ৫ রান করে মুজিবের ক্যাচ নবীর দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফিরেন তিনি। দলের বিপর্যয়ে হাল ধরতে ব্যর্থ হন মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাসকিন আহমেদ। নবীকে মিড উইকেটে ফ্লিক করে রান নিতে গিয়ে রশিদের থ্রোতে রান আউট হন মিরাজ। ১২ বলে ৬ রান করে ফিরেন তিনি।
অন্যদিকে রশিদের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে ফিরেন তাসকিন। ৬ বল খেলে কোনো রান করতে পারেননি তিনি। এরপর ৭ রান করে শরিফুল ইসলাম ও ১ রান করে রান আউটের শিকার হয়ে ফিরেন মুস্তাফিজুর রহিম। এর ফলে ৪৬.৫ ওভারেই ১৯২ রানে অলআউট হয়ে যায় টাইগাররা। হোয়াইটওয়াশ এড়াতে আফগানদের করতে হবে ১৯৩ রান। ২৯ রানে অপরাজিত ছিলেন মাহমুদউল্লাহ।
Leave a Reply