
৬৬ বছর বয়েসেই ১২৯ সন্তানের বাবা হয়েছেন ক্লাইভ জোন্স নামের ব্রিটেনের এক ব্যক্তি। সন্তান ধারণেই ইচ্ছা সবার থাকলেও অনেকে শারীরিক সমস্যার কারণে বাবা হতে পারেন না। আর সেজন্য তারা স্পার্ম ডোনার বা শুক্রাণু দাতার সন্ধান করেন। যেন শুক্রাণত দাতার সাহায্যে তারা সন্তান ধারণ করতে পারেন।
এমনই স্পার্ম ডোনারের মাধ্যমে ১২৯ সন্তানের বাবা হয়েছেন ৬৬ বছর বয়সী ক্লাইভ জোন্স। যারা সন্তান ধারণ করতে পারেন না তাদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন জোন্স। চাহিদা পূরণ করতে ফেসবুকে ওই ব্যক্তিকে খুঁজছেন নারীরা। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতোমধ্যে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছেন।
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটেনের ডার্বি শহরের চাড্ডেসডেন এলাকায় বসবাস করেন সাবেক শিক্ষক ৬৬ বছর বয়সী ক্লাইভ জোন্স। গত ১০ বছর ধরে তিনি স্পার্ম ডোনেশনের মাধ্যমে ১২৯ সন্তানের বাবা হয়েছেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, শিগগিরই তার আরও ৯টি সন্তানের জন্ম হতে চলেছে। আরও ৯ সন্তান জন্ম নিলে তিনি ১৩৮ সন্তানের বাবা হয়েছে। তবে তার লক্ষ্য ১৫০ সন্তানের জন্ম দেওয়া। এরপর এ কাজ থেকে বিদায় নিবেন তিনি। কাজটি খুব একটা সহজ কাজ নয়।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যারা স্পার্ম গ্রহণ করতে চান তারা ফেসবুকের মাধ্যমে ক্লাইভের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং তাদের চাহিদা পূরণ করার কথা জানান। বড় কথা হলো দীর্ঘদিন ধরে শুক্রাণু দানের কাজ করলেও তিনি এই কাজের জন্য টাকা নেন না।
ক্লাইভ বলেন, কাউকে সুখ দিয়ে, কারও সংসার গুছিয়ে তিনি সুখ পান। ৯-১০ বছর আগে সংবাদপত্রে একটি নিবন্ধ পড়ে তিনি এই ধারণাটি পেয়েছিলেন। যখন তিনি দেখেছিলেন যে, সন্তান ছাড়া মানুষকে কত মানসিক যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়। সেটি অনুভব করেই এই কাজে আসন তিনি।
ক্লাইভের এই কর্মকাণ্ডে সতর্কতা জারি করেছে হিউম্যান ফার্টিলাইজেশন অ্যান্ড এমব্রায়োলজি অথরিটি। প্রকৃতপক্ষে ক্লাইভ তার ভ্যান থেকে শুক্রাণু দানের কাজ চালান কিন্তু প্রশাসনের কঠোর নির্দেশ রয়েছে, যে সকল দাতা শুক্রাণু দানের কাজ করবেন, তারা শুধুমাত্র লাইসেন্সপ্রাপ্ত ক্লিনিকের মাধ্যমে তা বিক্রি বা ক্রয় করতে পারবেন।
কর্তৃপক্ষ বলছে, ক্লিনিকের পরিচালনার মাধ্যমে দাতা এবং গ্রাহক উভয়কেই স্পার্ম দানের প্রভাব ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে অবহিত করা যেতে পারে।
Leave a Reply